রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ২৮১ দিন অতিবাহিত হয়েছে। এ যুদ্ধে এখন পর্যন্ত ১৩ হাজারের বেশি ইউক্রেনীয় যোদ্ধা নিহত হয়েছেন। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির উপদেষ্টা মাইখাইলো পোডোলিয়াক এ তথ্য জানিয়েছেন। খবর বিবিসির।
জেলেনস্কির এই উপদেষ্টা বলেন, ‘এখন পর্যন্ত ১০-১৩ হাজারের মতো ইউক্রেনীয় যোদ্ধা নিহত হয়েছেন। ’
ইউক্রেনের পক্ষে হতাহতের পরিসংখ্যান দেওয়ার ঘটনাকে বিরল বলে আখ্যায়িত করেছে বিবিসি। এ ছাড়া পোডোলিয়াকের এই মন্তব্য দেশটির সামরিক বাহিনী দ্বারা নিশ্চিত করা যায়নি।
এর আগে গত জুনে পোডোলিয়াক বলেছিলেন, যুদ্ধে প্রতিদিন ১০০-২০০ ইউক্রেনীয় সৈন্য নিহত হচ্ছেন। আর গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জেনারেল মার্ক মিলে জানিয়েছিলেন, যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ১ লাখ করে মোট দুলাখ ইউক্রেনীয় ও রুশ সৈন্য হতাহতের শিকার হয়েছেন।
গত বুধবার একটি ভিডিও বার্তায় ইউরোপীয় কমিশনের প্রধান উরসুলা ভন বলেন, যুদ্ধে ইউক্রেনীয় বাহিনীর ১ লাখ সদস্য নিহত হয়েছেন। তবে পরে সংখ্যাটি নিয়ে নিজেদের বক্তব্য স্পষ্ট করে ইইউ কমিশনের একজন মুখপাত্র। ওই মুখপাত্র বলেন, সংখ্যাটিতে একটি ভুল ছিল। এতে নিহত ও আহত উভয়কেই উল্লেখ করা হয়েছিল।
ইউক্রেনের সম্প্রচার মাধ্যম চ্যানেল ২৪কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে পোডোলিয়াক বলেন, ‘কিয়েভ নিহতদের সংখ্যা নিয়ে প্রকাশ্যে কথা বলে আসছে। সংখ্যাটি আমাদের জেনারেল স্টাফ (জেলেনস্কি) দ্বারা মূল্যায়িত। সে অনুযায়ী বলা চলে, ১০ থেকে সাড়ে ১২ হাজার কিংবা ১৩ হাজার যোদ্ধা নিহত হয়েছেন। ’
তিনি আরও বলেন, ‘নিহত বেসামরিকদের সংখ্যাও নেহাত কম নয়। ’ চলতি বছরের জুনের মাঝামাঝি পর্যন্ত প্রায় ৩ হাজার ৬০০ বেসামরিকের মৃত্যুর বিষয়টি শনাক্ত করেছিল বিবিসি। তবে বর্তমানে সংখ্যাটি অনেক বেশি।
পোডোলিয়াকের মতে, যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ১ লাখ রুশ সৈন্য নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া ১ লাখ কিংবা ৫০ হাজার রুশ সৈন্য আহত বা নিখোঁজ রয়েছে।
বিবিসি জানিয়েছে, ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত ৯ হাজার ৩১১ রুশ সৈন্য নিহত হয়েছে। তবে প্রকৃত মৃত্যুর সংখ্যা ১৮ হাজার ৬০০ এর বেশি হতে পারে।